ডেস্ক রিপোর্ট : কুলাউড়ায় আলোচিত মনাফ হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি শাহিনুর রহমান শাহিদ ও আতিকুর রহমান চান মিয়ার মা জুবেদা খাতুনের (৮০) লাশ বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, গত ছয় দিন থেকে বাড়িতে অন্য লোকজন না থাকায় অনাহারে ও শীতে তিনি মারা গেছেন।পুলিশ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃত জুবেদা খাতুন কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের মীরশঙ্কর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে কুলাউড়া আলোচিত ব্যবসায়ী মনাফের লাশ উদ্ধার এবং আসামি শাহিদ ও চান মিয়াসহ ছয়জনকে গ্রেফতারের পর অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে বৃদ্ধ মাকে বাড়িতে ফেলে রেখে গা ঢাকা দেয়। পরিবারের নারীরাও সন্তানসহ আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকে পাড়া-প্রতিবেশীও তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেন। অসুস্থ বৃদ্ধা জুবেদা খাতুন একাই ঘরে থাকতেন। সোমবার সকাল থেকে বৃদ্ধা জুবেদা খাতুনের নড়াচড়া না পেয়ে এবং গরু-ছাগলের ডাকাডাকির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে বৃদ্ধা জুবেদা খাতুনের পচা লাশ বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখেন।
কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক হাবিব জানান, বৃদ্ধা জুবেদা খাতুন ছিলেন শ্বাসকষ্টের রোগী। ব্যবসায়ী মনাফের লাশ উদ্ধার ও আসামিদের আটকের দিন থেকে বৃদ্ধাকে একা রেখে বাড়ির নারীরাও নিরুদ্দেশ। ধারণা করা হচ্ছে সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় গত ছয় দিন থেকে না খেয়ে, সেই সাথে শ্বাসকষ্টে অথবা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলা শহরের মিলিপ্লাজার ব্যবসায়ী আব্দুল মনাফের (৩২) অর্ধগলিত লাশ ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে আনুমানিক ১১টায় চান মিয়ার ঘরের পেছনে মাটি চাপা দিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।