ডেস্ক রিপোর্ট : যেকোন সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস। আর দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে বিশ্বাস হলো খুঁটি। বিশ্বাস না থাকলে সে সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক, ভুল বোঝাবুঝি, অসৎ কাজকর্ম বৃদ্ধি পায়। আর একবার বিশ্বাস হারালে সেই বিশ্বাস ফিরে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি আপনার স্বামী বা সঙ্গীকে বিশ্বাস না করতে পারেন তবে দুজনের সম্পর্কের মধ্যে হিংসা, গোপনীয়তা, সন্দেহ দানা বাঁধে। তবে স্বামীকে বিশ্বাস না করতে পারলে কি সম্পর্ক ভেঙে যাবে? সম্পর্ক ভাঙার আগে আপনার উচিত হবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা। সেক্ষেত্রে নিচের কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন।
পুনরায় আস্থা অর্জন করার কথা বলুন:
একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে তা ফিরিয়ে আনা যায় না এ বিষয় সত্যি। তবে ব্যক্তি যদি ক্ষমা চায় আর পুনরায় ওই ভুল না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তবে তাকে সুযোগ দিন। বিশ্বাস ফিরে পেতে সময়, ধৈর্য এবং প্রতিশ্রুতি এবং দৃঢ়প্রত্যয় লাগে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা জরুরি এ বিষয়টি সঙ্গীকে তাকে বোঝান।
শান্তভাবে মুখোমুখি কথা বলুন:
আপনি যদি তার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে থাকেন তবে তার সাথে মুখোমুখি কথা বলুন তবে শান্তভাবে। সেক্ষেত্রে আপনার আবেগ, রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সময় নিন। কারণ রাগের মাথায় আপনি এমন অনেক কিছু বলতে পারেন যা বলতে চাননি।
যোগাযোগ:
আরও পড়ুন :মিসরের কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ব্রাদাহুডের এমপি
কথা বলা বন্ধ রাখা কোন সমাধান না বরং সমস্যা আরো বাড়ায়। এজন্য কোন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে আগে আপনার স্বামীর সাথে কথা বলুন। সেক্ষেত্রে কোন মাধ্যম আপনি ব্যবহার করবেন না। নিজেই কথা বলুন।
অন্যের পরামর্শ নিন:
আপনি যদি আপনার স্বামীর সাথে যোগাযোগ না করতে পারেন তবে অন্যের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে পরিবারের খুব কাছের সদস্যা বা নিকট বন্ধুর সাহায্য নিতে পারেন। একজন পেশাদার কাউন্সিলরও আপনাকে এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
ক্ষমা আর বিশ্বাস এক জিনিস না:
বেশিরভাগ স্ত্রী ভুল করে ভাবে প্রতারকস্বামীকে ক্ষমা করার অর্থ তাকে জীবনে আবার ফিরিয়ে আনা। কিন্তু দুটি বিষয় আলাদা। আপনার স্বামীকে প্রথমে আপনার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, ক্ষমা করার অর্থ এই নয় যে আপনি তাকে আপনার জীবনে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছেন। পার্থক্যটা ভালোভাবে বুঝতে শিখুন।