ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের কলকাতায় ২০ বছর বয়সি এক যুবককে ফুটপাতে ফেলে তার বুকের ওপরে বুট পরা পা দিয়ে ঠেসে ধরেছেন গ্রিন পুলিশের এক সদস্য।
পরনে সবুজ-রঙা পোশাক। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার, কথ্য ভাষায় ‘গ্রিন পুলিশ’। মাটিতে পড়ে থাকা যুবক নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন বারবার।
আর মাটিতে শুয়ে রাখতে বারবার বুকে ও পিঠে লাথি মারছেন গ্রিন পুলিশ। বুট পায়ে ঠেসে ধরছেন ওই যুবককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ছবি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড়ে রোববার সন্ধ্যায় এ বর্বর ঘটনা ঘটে। এই দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন অনেকে। যার জেরে শুরু হয় সমালোচনার তীব্র ঝড়।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেন, আমি ঘটনাটি দেখে বিব্রত। ঘটনার জন্য দুঃখিত। রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে ওখানে ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক অফিসারদের সোমবার সকালে আমার অফিসে ডেকে পাঠিয়েছি।
তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এই অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে। অফিসারদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তদন্ত হবে।’
তার আগে এদিন এক্সাইড মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, তখনো ডিউটি করছেন তন্ময় বিশ্বাস নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। রয়েছেন সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরাও। তন্ময় নিজে অকপটে ঘটনার কথা স্বীকারও করেন।
তিনি এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য পুলিশকর্মীরা জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় এক্সাইড মোড় থেকে হাওরাগামী একটি চলন্ত বাস থেকে নারীর ব্যাগ ছিনতাই করেছিলেন ওই যুবক। বাস থেকে নেমে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে মার খাচ্ছিলেন তিনি।
তন্ময় প্রথমে তাকে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। তখন ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করতেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন তন্ময়। সে কারণেই ফুটপাতে ফেলে পা দিয়ে ঠেসে ধরেছিলেন। যে দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন মহানগরবাসী।