প্রতারক স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তরুণীর অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ১৬:৫৪, ০৭ নভেম্বর ২০১৯

দুজনেরই বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। ছোট থেকে একসঙ্গে পড়াশোনা। সেই সূত্রে প্রেম ও পরিণয়। কিন্তু এক সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যান হরিচাঁদ মন্ডল। স্ত্রীকেও চলে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু স্ত্রী তহমিনা খাতুন সাতক্ষীরায় একটি স্কুলের শিক্ষিকা। তাই চাকুরি ছেড়ে যেতে চাননি। হরিচাঁদও ফিরে আসতে রাজি হননি।

বরং সেখানে থেকে আরেকটি বিয়ে করে বসেন তিনি। স্ত্রী তহমিনার কাছে সেই খবর পৌঁছুতেই প্রতারক স্বামীর খোঁজে চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটায়। খুঁজে বের করেন স্বামীর বাড়ি। সটান সেখানে হাজির হয়ে স্বামী যাতে পালাতে না পারে সেজন্য বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এই নিয়ে গোটা এলাকায় হুলুস্থুল পড়ে যায়।

বুধবার দিনভর এই নিয়েই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে উদ্ধার করে অভিযুক্ত হরিচাঁদ মন্ডলকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। তবে তরুণীটি এই সময়ে বাধা দেবার চেষ্টা করেছে। ফলে পুলিশের সঙ্গে তার একচোট ধস্তাধস্তি হয়েছে।

তাহমিনা খাতুন (২৭) জানিয়েছেন, স্বামী হরিচাঁদ মন্ডলের সঙ্গে তার যোগাযোগ বহুদিনের। দু’জনেই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই হরিচাঁদ ওপার বাংলায় চলে যান। অভিযোগ, গাইঘাটার মোড়লডাঙা গ্রামে এসে এখানকার ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলেন। কিন্তু ওপারে আসার পরেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় টানাপোড়ন।

তাহমিনার অভিযোগ, এক সময় হরিচাঁদ তাহমিনাকে বলে পাঁচ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে। বুধবার তাহমিনা বলেন, আমি বাংলাদেশে একটি স্কুলে চাকরি করি। পাকাপাকি ভাবে এখানে চলে আসা সম্ভব নয়। তাই আসতে পারিনি। তার অভিযোগ, এই সুযোগ নিয়েই হরিচাঁদ ও পারে ফের বিয়ে করেছেন। তাহমিনার অভিযোগ, হরিচাঁদ দুই দেশের পরিচয়পত্রই ব্যবহার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top