রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে যেতে বাধ্য করা হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ২২:৪৫, ০৫ নভেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসান চরে উন্নত জীবন ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে মঙ্গলবার বাংলাদেশ বলেছে যে বাস্তুচ্যুতদের কাউকেই সেখানে জোরপূর্বক স্থানান্তর করা হবে না।

ইউএনবি এক প্রতিবেদনে জানায়, সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাঁর কার্যালয়ে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলসের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।

মোমেন ও ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের আলাদাভাবে ব্রিফ করেন।

মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে এদেশে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়ে আছে, যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর প্রবেশ করেছে।

গত দুই বছরে মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি তবে দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘বিভ্রান্ত’ করতে দাবি করেছে যে মোট ৩৯৭ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে গেছে।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ‘বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করতে ব্যর্থ হওয়ায়’ ও তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে ‘অনুকূল পরিবেশের অভাব’ থাকায় দুই বার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে বাধা দিচ্ছে এমন প্রকৃত কারণগুলো মোকাবিলায় মিয়ানমারকে অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে,’ বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ বলছে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক অংশগ্রহণকে মিয়ানমারের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত।

‘দীর্ঘায়িত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য দায়মুক্তির সংস্কৃতি দূরীকরণে মিয়ানমারেরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা করা উচিত,’ বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top