নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ১৯:২৫, ০৫ নভেম্বর ২০১৯
শুধু মুনাফার দিকে দৃষ্টি না দিয়ে বরং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে বিমা কোম্পানিগুলোর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার ‘কোপিং উইথ ক্লাইমেট রিস্ক’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ১৫তম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইনক্লুসিভ ইনস্যুরেন্স অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বিমা শিল্পকে মানবিক কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
মাইক্রোনস্যুরেন্স নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) এবং মিউনিখ রি ফাউন্ডেশন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী উৎপাদনের পাশাপাশি অর্থনীতিকে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে বিমা কোম্পানিগুলোকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। ‘আমরা মনে করি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবন বিমাকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবিলায় জীবন বিমার ব্যবহার বাংলাদেশে খুবই নগণ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীরা যাতে টিকে থাকতে পারেন সে জন্য বিমা খাত সংশ্লিষ্টরা যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।
শেখ হাসিনা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে সরকার গৃহ ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে। ‘ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। যদি বিমা কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসে এবং মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমি মনে করি, দেশের মানুষ দরিদ্রতা থেকে উঠে আসবে এবং দেশ সার্বিক উন্নয়নের দিকে আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।’
বিমা খাত উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ-তালিকাভুক্ত ২৭টি বিমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিআইএ প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, মাইক্রোইনস্যুরেন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ডোবেল চেম্বারলিন, মিউনিখ রি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান থমাস লোস্টার এবং বিআইএ ফাস্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রুবিনা হামিদ।
সম্মেলনে উঠতি বাজারের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক বিমার বিকাশ ত্বরান্বিত করার উপায় খুঁজে বের করা এবং আর্থিক বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সারা বিশ্ব থেকে ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নিতে যাচ্ছেন।