আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যক্তি খুঁজছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ১৮:৫৯, ০৪ নভেম্বর ২০১৯

আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আওয়ামী পরিবারের মধ্য থেকে ত্যাগী, যোগ্য, তৎপর ও আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যক্তি খোঁজা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুণর্গঠনে কাউন্সিল করতে যাচ্ছে সহযোগী সংগঠনগুলো। চলমান অভিযানের বিষয়টি মাথায় রেখেই স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, নতুন করে সহযোগী সংগঠনগুলো সাজানো হবে। এতে কোনো দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ থাকবে না। যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতি করে তাদেরকে নেতৃত্বে আনা হবে।

জানা যায়, আগামী ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগের, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ নভেম্বর যুবলীগ কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সর্বশেষ ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন, কৃষক লীগের গঠনতন্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন শ্রমিক লীগের নেতৃত্বেও আমূল পরিবর্তন এবং যুবলীগকে নতুন করে সাজানো হবে। এ সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের জন্য আওয়ামী পরিবারের মধ্য থেকে আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যক্তিই খোঁজা হচ্ছে।

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজনের নামে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণ ও সৎ নেতৃত্ব চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধানমণ্ডি সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিশেষ সভায় বলেছেন, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী, অনুপ্রবেশকারীদের কমিটিতে জায়গা হবে না। দলের সভাপতি সব কমিটিতে স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের লোক আনার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত তালিকা করা হয়েছে। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এমন কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, কে নেতৃত্বে আসবেন এটা বলা যায় না। অনুপ্রবশকারী ও বিতকির্ত লোক কমিটিতে থাকতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম ৯টি সংগঠনের মধ্যে পাঁচটিই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১২ সালে। অর্থাৎ সাত বছর ধরে চলছে এই তিন সংগঠনের কমিটি। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এ সংগঠনের কাউন্সিল নিয়েও আলোচনা চলছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top