খুলনায় প্রেমের সম্পর্ক গোপন করতে প্রেমিকার ভাইকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ২২:২১, ০৩ নভেম্বর ২০১৯

খুলনার রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের বাঁধাল গ্রামের কওমীয়া কারিমিয়া মাদ্রাসা ছাত্র আদনান সানি আলিফ ওরফে বাবুকে (৮) নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলায় আসামি আব্দুল্লাহ সরদার (১৯) ও সৌরভ শেখ ওরফে কালু (১৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। প্রেমের সম্পর্ক গোপন করতে প্রেমিকার ভাই আদনানকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরো পড়ুন: >> খুলনায় ৮ বছরের শিশুর পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার

রবিবার (০৩ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সর্দার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল ৩ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এসময় আব্দুল্লাহ ও কালু আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তাদের দেয়া ফৌজদারী দন্ড বিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাস। অপর দিকে মামলার অপর আসামি সুমন মোল্লা (১১) কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে হলে হাজির করা হলে বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম তাকে যশোর কিশোর সংশোধনী কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেছেন। আসামীরা রূপসা থানাধিন বাঁধাল গ্রামের নুর ইসলাম সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ সরদার, সোকর শেখের ছেলে সৌরভ শেখ ওরফে কালু ও শহিদুল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সর্দার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল জানান, নিহত আদনানের বোনের সাথে সৌরভ শেখ ওরফে কালু’র প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের প্রেমের বিষয়টি এক পর্যায়ে নিহত আদনান জানতে পেরে তার পরিবারের লোকজনকে বলে দেওয়ায় এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। তবে হত্যাকান্ডের সঙ্গে আরো কে কে জড়িত না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩১অক্টোবর সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে মাগরিবের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বাহির হয় রূপসার বাঁধাল গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র আদনান সানি আলিফ ওরফে বাবু। এশার নামাজের পর রাত সাড়ে ৮টায়ও বাবু বাড়ি ফিরে না এলে তাকে খুঁজতে বের হয় পরিবারের লোকজন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাজিম শেখের ধান ক্ষেতের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা শিশু আদনানের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মামলা করেন যার নং-৪।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top