কয়রায় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে দ্বিধা দ্বন্দ্বে নেতা কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ১৯:১৯, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন সাতটি ইউনিয়ন কমিটি বুধবার বিলুপ্ত ঘোষণা কওে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। একই দিন জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ওই কমিটি পূণর্বহাল করে পাল্টা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকান্ডের দায়ে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক এস এম হাদিউজ্জামান রাসেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৭টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনকে গতিশীল ও মডেল ছাত্রলীগ হিসাবে পরিণত করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ইউনিয়ন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী নেতা কর্মীদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এদিকে বুধবার রাত ৯টায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ হাওলাদার ও সম্পাদক ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত পাল্টা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় জেলার আওতাধীন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় কোন কারণ ছাড়াই ইউনিয়ন কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এমতাবস্থায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেই মর্মে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক বরাবর কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো। অন্যথায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন ৭ টি ইউনিয়নের কমিটি পূনর্বহাল করা হলো।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন সাধারণ নেতা কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, জেলা ছাত্রলীগের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠণ নিয়ে আগেই দুরুত্ব তৈরী হয়েছে। তারই প্রভাব পড়ছে এখন।

কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেতকাশি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিনুল আলম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক তরফা সিদ্ধান্তে ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারি মনোভাবে একাধিক গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু জানিয়েছেন, ইউনিয়ন কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ন ও অছাত্রদের দখলে থাকায় ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা চেয়েছি একটি মডেল ছাত্রলীগ উপহার দিতে। জেলা ছাত্র লীগের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

সূত্র অনুযায়ি, গত ২ জুন সালাউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও সোহেল রানা সৌরভকে সাধারণ সম্পাদক করে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে খুলনা জেলা ছাত্রলীগ। এর ২২ দিনের মাথায় ওই কমিটি বাতিল করে শরিফুল ইসলাম টিংকুকে সভাপতি ও হাদিউজ্জামান রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top