খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ২১:১২, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

ডুমুরিয়ায় খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খর্ণিয়া ইউপি-শোভনা পশ্চিমপাড়া বাজার অভিমূখে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন সড়কে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতের আধারে গাড়ি বোঝাই করে আনা নিম্নমানের ইটের আমা খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে সড়কটিতে। এ ঘটনায় সড়কের স্থায়ীত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে। তবে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করলে তা তুলে ফেলে পুনরায় মান সম্মত খোয়া ব্যবহার করতে হবে,অন্যথায় এ কাজের বিল পাবেনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খর্ণিয়া ইউপি-শোভনা পশ্চিমপাড়া বাজার অভিমূখে ২৫’শ মিটার সড়ক নির্মানের জন্য ২ কোটি ৪০ লাখ ৩৩ হাজার ৯ শত ৩৪ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই কাজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম এন্ড বিশ্বজিত কুন্ডু। কাজটি ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী কাজ শেষ করতে হবে এমন চুক্তিতে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শুরুতেই এ কাজ নিয়ে নানা অনিয়ম দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

কাজের নানা অনিয়ম তুলে ধরে খর্ণিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও আ’লীগনেতা মেহেদী হাসান বিপ্লব বলেন, ‘কাজের শুরুতে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দেয়, এ নিয়ে কথা কাজ বাস্তবায়নের দায়িক্তে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শওকত হোসেনের সাথে। তার কাছে তিনি সিডিউল দেখাতে চাইলে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করে কড়া ভাষায় বলেন, এ দেখার দায়িত্ব আপনার নয়, প্রকৌশল অধিদপ্তর’র। তারা তাদের কাজ বুঝে নেবে। অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসি কয়েকবার প্রতিবাদও করেছে। কিন্তু তাতেও কোন ভাল ফল আসেনি। একই অনিয়মে দেদারছে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। মনে হয় এ দেখার যেন কেউ নেই।’

কাজের মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তুলে বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ও আ’লীগ নেতা মাসুদ জোয়ার্দার বলেন,মঙ্গলবার রাতের আঁধারে কোথা থেকে গাড়ি বোঝাই অত্যন্ত নিম্নমানের শুড়কিযুক্ত ইটের আমা খোয়া এনে রাস্তায় স্তুপ করে রাখা হয়। সকালে এসে দেখি ওই খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপর এলাকাবাসিদের সাথে নিয়ে ওই খোয়া ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়।

এ প্রসংগে কথা হয় ঠিকাদার বিশ্বজিত কুন্ডু‘র সাথে তিনি জানান, প্রশ্নবিদ্ধ ইটের খোয়া সরিয়ে ফেলা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করলে তা তুলে ফেলতে হবে এবং পুনরায় মান সম্মত খোয়া ব্যবহার করতে হবে, অন্যথায় বিল পাবেনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top