নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ২০:৫৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ নেতাকর্মীদের ক্ষোভের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় তোপের মুখে পড়েন নেতারা। এতে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
সভায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, খুলনা জেলা বিএনপি এখন পদ-পদবি বিক্রির লিমিটেড ফার্মে পরিণত হয়েছে। কতিপয় বুদ্ধিজীবির পরামর্শে জেলা বিএনপিকে কুক্ষিগত করা হয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, কম্বলের লোম বাছতে বাছতে জেলা বিএনপি কম্বলবিহীন হয়ে গেছে। যাদের বিরুদ্ধে মাদক, নারী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তারাই এখন জেলা বিএনপির নীতি নির্ধারক।
বাপ্পী বলেন, যুবদলের কমিটি পছন্দ না হওয়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান যেখানে সেখানে ফোন দিয়ে যুবদলের মিটিংয়ে আসতে কর্মীদের নিষেধ করেছেন। মিটিংয়ে আসলে বিএনপিতে পদ থাকবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সভায় মনিরুল হাসান বাপ্পী আরো বলেন, জেলা বিএনপি সভাপতির কাছের এক বুদ্ধিজীবি আমাকে হত্যার জন্য মস্তানদের কাছে ছোট মেশিন (পিস্তল) কিনতে গেছেন। আরেকজন র্যাবের সাথে তার ভালো সম্পর্ক আছে জানিয়ে আমার ঢাকার বাড়ির ঠিকানা খুঁজতে শুরু করেছে। আমাকে ওই বাড়ি থেকে আটক ও গুম করা হবে। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে এর দায়ভার জেলা বিএনপির সভাপতিকে নিতে হবে। কারণ এদের নেতৃত্ব তিনিই দিচ্ছেন। খুলনা জেলা বিএনপি কারো লেজুড়বৃত্তি করলে ওই কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে অবৈধ হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করা হয় বর্ধিত সভায়।
এসব বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, মূলত: ৭ ই নভেম্বর পালন, ঈদে মিলানুন্নবী ও দলের নেতা তারিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সহ-সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় কেউ কেউ তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। দল করতে গেলে নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ধরনের ক্ষোভ থাকে আর তা পার্টির ফোরামেই তারা বলে থাকেন। তবে এ ধরনের ক্ষোভ একসময় নিরসন হয়ে যায়।