নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ১৭:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৯
যশোরের চৌগাছা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক তরিকুল ইসলাম জালসনদ দিয়ে ৮ বছর ধরে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ বিষয়ে জানতে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, ‘তার (তরিকুল ইসলাম) বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। বিষয়টি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে বিবেচনার জন্যে এনটিআরসিএ’র কাছে একটি আবেদন করেছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফল পাওয়া যাবে। নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে মামলা করা হবে। ব্যক্তি বিশেষের জন্য কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনও কাজ আমি করবো না।’
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ সেপ্টেম্বর কলেজের ১৫ জন শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। এরই ভিত্তিতে ৬ অক্টোবর এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক: বেশিনিক/পমূপ্র/সনদ যাচাই/৭৪৪(অংশ-৩৫)/২০১৭/৬৭৯ ) সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা সরকারি কলেজের কারিগরি শাখার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান তরিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে ২০১১ সালে চৌগাছা ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পান। ওই বছরই তিনি এমপিওভুক্ত হন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৪২৩১২৬০০ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯০০৩১১। সম্প্রতি এনটিআরসিএ সনদ যাচাই করে দেখে ওই শিক্ষকের সনদটি সঠিক নয়। তিনি ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ওই পরীক্ষায় তিনি আবশ্যিক বিষয়ে পেয়েছিলেন ৩০ (পাস মার্ক ৪০) এবং ঐচ্ছিক পরীক্ষায় পান ৩৬।
এ বিষয়ে জানতে প্রভাষক তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল এবং এসএমএস পাঠালেও তিনি কোনও জবাব দেননি।