নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন | প্রকাশিতঃ ২৩:০৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী এলাকায় সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন অনাদি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। দুই বছর ধরে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের ওই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অনাদি মণ্ডল নিজেও সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়ায় ওই ভবন ভেঙে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোংলার ভূমি কমিশনার নয়ন কুমার রাজবংশী।
সরেজমিনে কাইনমারী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই কাঠা সরকারি জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের ওপর বিম ও পিলার বাসানো হয়েছে। যতটুকু কাজ হয়েছে তাতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনাদি মণ্ডল।
তিনি জানান, এই জমি বাবদ সরকারি কোষাগারে খাজনা দিয়েছেন তিনি। এটি ভূমি অফিসের সবাই জানেন। তবে বিল্ডিং করা যাবে কিনা সেটি তিনি জানতেন না।
এ ব্যাপারে মোংলা সদর ইউনিয়নের নায়েব (তহসিলদার) প্রবিত্র কুমার বলেন, ‘আমি জানতাম অনাদি মণ্ডল সরকারি ওই জমির খাজনা দিয়েছেন। তবে ভবন নির্মাণের খবর জানা ছিল না। সরকারি জমির খাজনা দিলেই সেখানে ভবন নির্মাণ করা যায় না।’
প্রবিত্র কুমার জানান, কাইনমারী মৌজায় ৮৩/৭৩, ৭৪ নম্বর ভিপি লিজ কেস জমিটি সরকারি মালিকানার। এ জমি দুস্থ-অসহায় মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বসবাস বা কৃষি কাজ করতে দেওয়া হয়। কারও ব্যক্তিগত ভবন নির্মাণের অধিকার নেই। বিল্ডিং নির্মাণের কথা শুনে উচ্ছেদের জন্য এসিল্যান্ড বরাবর রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান বলেন, ‘সরকারি জমিতে কেউ ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। এটি বে-আইনি। ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে তাদের নোটিশ করে উচ্ছেদ করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মোংলার ভূমি কমিশনার নয়ন কুমার রাজবংশী। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি ওই বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।