মোংলা প্রতিনিধি: বাগেরহোটের মোংলায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মানবাধীকার কর্মী শিউলী ইয়াসমিন(৪৫)। বন্দর এলাকার পাওয়ার হাউজ মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সভায় যাওয়ার পথে গত শুক্রবার তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাকে এলোপাথাড়ি মারধরসহ প্রকাশ্য রাস্তায় শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলার পর আহতাবস্থায় প্রথমে তাকে মোংলা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা রেকর্ড করা হয়নি। এ ছাড়া আটক হয়নি কোন আসামি।
লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে- এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা করায় একটি মহল শিউলী ইয়াসমীনের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নাখোশ। তাই জীবননাশের হুমকির মুখে গত তিন মাস আগে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিউলী ইয়াসমিন। এতে ওই মহলটি আরও ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। গত শুক্রবার বিকাল ২টার দিকে শিউলী ইয়াসমিন বন্দর এলাকার পাওয়ার হাউজ মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় যোগদানের জন্য যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা ৩-৪ জন মুখোশধারী তার গতিরোধ এবং তাকে গালমন্দ করে। একপর্যায়ে মুখোশধারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিউলী ইয়াসমিনকে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধরসহ প্রকাশ্য রাস্তায় তাকে বিবস্ত্র এবং শ্লীলতাহানি করা হয়। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে মুখোশধারীরা মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিউলী ইয়াসমিন জানান, তিনি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। হামলাকারীদের মধ্যে তিনি মো. সোহেল, মো. হুমায়ন এবং জাকির মোল্লা নামের তিনজনকে চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় ওই তিন জনসহ অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা রেকর্ড বা আসামি আটক হয়নি।
মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধূরী জানান, তারা হামলার অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।