প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দূরশিক্ষণের আওতায় যুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। মহামারি করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)। আর সরকারি কোষাগার থেকে বাকি টাকা ব্যয় হবে।
এ প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এরইমধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় ৩৫টি বিষয়ের ওপর ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ডিজিটাল কনটেন্ট কনসিয়াস ও প্রেসিস করা হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা টিকা না আসা পর্যন্ত নিরাপদ নই। এ কারণেই প্রকল্প। এরইমধ্যে প্রকল্পটি নিয়ে সভা করা হয়েছে। আইসিটিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের প্রতিটি স্কুলে ইন্টারনেট যাবে। মোবাইল কিনে দিলেই হবে না, নেট সংযোগ থাকতে হবে। তবে নেটও এখন দুর্বল। এটা নিয়ে আরো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা সব বিষয় পরিষ্কারভাবে দেখেই প্রকল্পটি অনুমোদন দেব।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে উপবৃত্তিসহ পুনঃভর্তি কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কনটেন্ট তৈরি করা হবে।
মহামারি করোনার কারণে ৩ কোটি ৮৬ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সব বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।