ডেস্ক রিপোর্ট : নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ১, ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলের গেজেট এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগ ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী।
ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর কবিরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন। অভিযোগে বলা হয়, ইভিএম মেশিনে শূন্য ভোট না দেখিয়েই ভোটগ্রহণ করা হয়।
২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট দায়ের করেন কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী সালেহা আক্তারসহ ৫ জন কাউন্সিল প্রার্থী।
রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগ ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের ৩টি ওয়ার্ডের ফলের গেজেট স্থগিত করেছেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জহিরুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।