শ্যামনগরে সোতার খাল উন্মুক্তকরণের দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত সোতার খাল উন্মুক্তকরণের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) সকাল দশটায় ইউনিয়নের কাচিহারানিয়া ও খুটিকাটা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সোতার খালের উভয় পার্শ্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন থেকে সোতার খাল উন্মুক্তকরণের দাবি জানানো হয়।শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খুটিকাটা কাচিহারানিয়া, শংকরকাটি,কাঠালবাড়িয়া চারটি গ্রামে প্রায় আট হাজার মানুষের বসবাস। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ সোতার খাল।

এই খালটি দীর্ঘদিন উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। বর্তমানে এই খালটি ইজারা দেওয়ার ফলে ইজারাদারদের খামখেয়ালিপনায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি ঘর পুকুর সব পানিতে থৈথৈ করছে।ইজারাদাররা খালের কয়েকটি স্থানে পাটা বসিয়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

সোতার খালটি এখন এলাকায় মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু জনসংখ্যা অধ্যুষিত কাচিহারানিয়া, খুটিকাটা, শংকরকাটি ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায়।তাই তারা অধিকার আদায়ে তারা পথে নেমেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নওয়াবেকী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাপস কুমার বৈদ্য, কলেজছাত্র দেবব্রত মিস্ত্রী, গৃহবধূ সুনিতা মন্ডল, কৃষক সবুজ মন্ডল, কৃষক মোমিন মোড়ল, সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা সীতা রানী বৈদ্য প্রমূখ।

বক্তারা জানান কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খুটিকাটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে সাবলীজ নিয়ে কাচিহারানিয়া গ্রামের সাধন মিস্ত্রি ও পার্শ্ববর্তী খুটিকাটা গ্রামের সুপদ মন্ডল, অনিমেষ মন্ডল, রতি কান্ত মন্ডল সুকুমার মন্ডল, কমলাকান্ত মন্ডল, নিশিকান্ত মন্ডল ও অজিত মন্ডল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

আকাশ বন্যায় প্লাবিত কাচিহারানিয়া, খুটিকাটা, শংকর কাটি, ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র অবলম্বন সোতারখালটি নেট পাটা দিয়ে আটকে রেখেছেন। এ কারণে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মাটির ঘর বাড়ি, খাবার পানির পুকুর, হাজার হাজার বিঘা জমির বীজ তলা পানিতে তলিয়ে আছে।

এলাকায় চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তাটিও পানিতে ডুবে আছে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে মাটির খুবড়ী ঘরগুলি ভেঙ্গে পড়ছে। রান্না ও পয়ঃনিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে এলাকায় পানিবাহিত রোগ শুরু হয়ে গেছে।

এভাবে সকল বক্তারা সীমাহীন দুর্ভোগের কথা জানান।মানববন্ধনের মাধ্যমে সমস্যা সমানের জন্য তারা সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top