করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা মহানগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম রেড জোন হিসেবে কড়া নজরদারির মধ্য দিয়ে লকডাউন শুরু হয়েছে । পাশাপাশি জেলার রূপসা উপজেলা আইচগাতি ইউনিয়নেও এ লকডাউন শুরু হয়েছে।
এসব এলকায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলবে ১৬ জুলাই দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২১ দিন।
খুলনা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক অভিযোগ করে বলেন, খুলনা মহানগরীর রেড জোন এলাকায় বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে জরুরি সেবা হিসাবে ঘোষিত ইন্টারনেট সেবা। করোনা সংক্রমণের সময় কালীন প্রথমেই সরকার অনান্য জরুরি সেবার সাথে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবাকে জরুরি সেবা হিসাবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরবর্তীতে খুলনা সহ সমগ্ৰ বাংলাদেশে জেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক জারিকৃত নোটিশ সমূহে ইন্টারনেট ,টেলিফোন ও বিদ্যুৎ প্রদান করি সংস্থা সমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ,কর্মচারী ও তাদের নিজস্ব যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা ভাবে উক্ত নোটিশের আওতামুক্ত তা উল্লেখ থাকে। কিন্তু সম্প্রতি খুলনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত সর্বশেষ নোটিশে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে লকডাউন কৃত এলাকায় জরুরি ইন্টারনেট সেবা দানের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রবেশ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে ও নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান দারুন ভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। কাঙ্খিত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না যার ফলে টেলিমেডিসিন, অনলাইন ক্লাস , অনলাইন ব্যাংঙ্কিং সহ অন্যান্য জরুরি অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম উক্ত লকডাউন এলাকায় কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ৩৫টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা দিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, রেড জোন এলাকায় ইন্টারনেট সেবার কাজ করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। যদি তারা মনে করেন সেটা জরুরি তাহলে কাজ করার অনুমতি দেবেন।