সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন দস্যু নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন র্যাবের কয়েকজন সদস্য। শনিবার রাতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ফিরিঙ্গি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরার হরদহ এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন ও আশাশুনি উপজেলার বসুখালীর জামাত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান। তারা দস্যু খান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিন্তু এর আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দুপুরে খুলনার র্যাব-৬ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা গেছে, খান বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় থেকে বাংলাদেশ অংশের জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের আগেই তারা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে ভারতে গিয়ে থাকতেন।
সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনে খান ও বুলবুলসহ কয়েকটি ছোট ছোট দস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২০ জুন সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া চার জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে একটি দস্যু বাহিনী। ওই ঘটনার পর শুক্রবার থেকে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালায় র্যাব।