বিজ্ঞপ্তি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:২৮, ২৫-০৬-১৯
যখন বর্তমান সরকার গ্রাহক আঙ্গিনায় নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছে , ঠিক সেই মূহুর্তে ওজোপাডিকোর কিছু অসৎ কর্মকর্তা -কর্মচারীরা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত করছে। সরকারকে নানাভাবে বিপাকে ফেলে, ফয়দা লুটতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ‘প্রি পেইড মিটারে বিদ্যমান দুর্নীতি প্রতিরোধে সংগ্রাম কমিটি’ এর বক্তারা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরী সভায় এসব কথা বললেন প্রি পেইড মিটারে বিদ্যমান দুর্নীতি প্রতিরোধে সংগ্রাম কমিটির বক্তারা।
তারা আরো বলেন, গ্রাহকদের ফ্রি মিটার দেয়ার কথা বলে মিটার ভাড়া আদায়, আগের পোষ্ট পেইড মিটারের দায়ভার, সফটওয়ার জটিলতার কারণে বিল বেশি আসা, মিটারে সমস্যা দেখা দিলে সংস্কারের ব্যবস্থা না থাকা, প্রি পেইড মিটার রিচার্জের পাশাপাশি পোষ্ট পেইডেরও বিল দেয়া, বিইআরসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে দু’বছর ১% রিবেট না দিয়ে দু’কোটি টাকা কোম্পানীর কাছে রাখা, বেসপ্লেট নষ্ট হওয়ার দোহাই দিয়ে মিটার লক করা, আবার মিটার বাইপাসের কথা বলে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা। এসবের সাথে সরকারের সিদ্ধান্তের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা চাই সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে নয়, গ্রাহকদের সেবা দিয়ে জনগনকে সম্পৃক্ত করুক ওজোপাডিকো। কোম্পানীর লক্ষ্য হচ্ছে সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী সরবরাহ করা। সেই লক্ষ্যে ওজোপাডিকো কাজ করুক এমন প্রত্যাশা সংগ্রাম কমিটির। প্রি পেইড মিটারে অস্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি-অনিয়মের ব্যাপারে ছয় মাসের সময় চেয়ে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড-ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমাণ করেছে পদ্মার এপারের একুশ জেলার গ্রাহকদের যে অসন্তোষ তৈরী হয়েছে তা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নয়- তাদের দুর্নীতির জন্য হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক ডা: শেখ বাহারুল আলম। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাখ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহাম্মদ , যুগ্ম সদস্য সচিব শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, নাগরিক নেতা সেলিম বুলবুল, সেফের মোঃ আসাদুজ্জামান, জেসমিন জামান, সামসুল কাদের, শেখ মোঃ হালিম , নরেশ চন্দ্র দেবনাথ, অসীম কুমার পাল, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, স্মৃতি রেখা বিশ্বাস, মো: কামাল হোসেন, শেখ তারেক প্রমুখ।