খুলনার পাইকগাছায় যৌতুক না পাওয়াকে কেন্দ্র করে আয়শা বেগম নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে পাইকগাছা উপজেলার পুরাইকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাযায়, গোপালপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার খাঁর মেয়ে আয়শা বেগমের সাথে পুরাইকাটি গ্রামের বারী গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে প্রায় ৯ বছর পূর্বে ধর্মীয় বিধান মতে বিবাহ হয়। তবে আয়শা বেগমের সাথে তার পরিবারের লোক ভাল ব্যবহার করতো না।
আয়শার ভাই হোসাইন রিপন বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর হতে আমার বোন আয়শা বেগমকে দিয়ে ভগ্নিপতি আমার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দাবী করে। আমি আমার সাধ্যমত বোনকে সুখী রাখার জন্য টাকা পয়সাসহ জমি জায়গা কিনে দেই। হঠাৎ করে আমার বোনের স্বামী শফিকুল, শ্বাশুড়ী ফেলি ও ননোদ পাপিয়া বেগম বোনকে চাপ সৃষ্টি করে টাকা আনতে বলে। কিন্তু আমার বোন আয়শা বলে এখন আমার ভাইয়ের কাছে টাকা পয়সা নাই দিতে পারবে না। এ বলার সাথে সাথে স্বামী, ননোদ ও শ্বাশুড়ী মিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে সংসার করতে হলে টাকা পয়সা লাগবে। এ কথা বলে স্বামী, ননোদ ও শ্বাশুড়ী মিলে মারতে মারতে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। তখন পাশ্ববর্তী লোকজন আমার কাছে মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি জানাই। আমি বিষয়টি জানতে পেরে বোনের বাড়ি যায়। যাওয়ার সংগে সংগে শফিকুল ও পাপিয়া অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে। বিষয়টি জানতে চাইলে শফিকুল ও পাপিয়া তাকেও মারপিটসহ জীবন নাশের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে ও আয়শাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে রিপন সুস্থ্য হয়ে পাইকগাছা থানায় শফিকুল,পাপিয়া ও ফেলি বেগমের নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং-১২৩৩,তারিখ ২৩/৬/২০২০।
এ বিষয় পাইকগাছা থানা ওসি এজাজ শফীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।