মৃত্যুপুরী যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ১ লাখ ২২ হাজার ছাড়াল, আক্রান্ত ২৪ লাখ ছুঁই ছুঁই

কোভিড-১৯ মহামারীর দাপটে পর্যদস্তু যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় দেশটির আশপাশেও নেই কোনো দেশ। রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২৪ লাখ ছুঁই ছুঁই। এ তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারসের।

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ও প্রাণহানির জরিপ করা এই আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬১০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৫৩ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখ ২ হাজার ৯২৯ জন।

আর যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা) যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ১০ হাজার।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্কে। রাজ্যটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৭২ জন। আর মারা গেছেন ৩১ হাজার ২৬৮ জন। আক্রান্তে দ্বিতীয় ক্যালিফোর্নিয়ায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৫৫৬৫ জন। আর মৃত্যুতে দ্বিতীয় নিউজার্সিতে ইতিমধ্যে ১৩ হাজার ৬৫ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৯০ জন।

এমতাবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বাভাস, বৈশ্বিক এই মহামারীতে তার দেশে অন্তত দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

টেলিভিশন চ্যানেল স্প্যাকট্রাম নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

‘মৃত্যু সংখ্যা দেড় লাখ পর্যন্ত উঠতে পারে। দেড় লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে’-যোগ করেন ট্রাম্প।

করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত ব্যবস্থা সফল দাবি করে তিনি বলেন, করোনায় আরও অনেক মৃত্যু হতে পারত। যথাযথ পদক্ষেপের কারণে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। প্রশমনে ব্যবস্থা না দিলে আমরা দুই মিলিয়ন থেকে চার মিলিয়ন মানুষ হারাতাম।

মার্চের মাঝামাঝি ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের একটি গবেষণাতেও এমন একটি দাবি করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল– ছোঁয়াচে এই ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ মানুষের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসকে প্রথম দিকে গুরুত্ব দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। তার খেসারত দিতে হল দেশটির জনগণকে। এ কারণে ট্রাম্প সমালোচিত হচ্ছেন ব্যাপকভাবে। আসন্ন নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top