ডেস্ক রিপোর্ট : কোভিড ভ্যাকসিন সংরক্ষণে ‘কোল্ড চেইন ইকুইপমেন্ট’ ক্রয় করা হবে। এছাড়া যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার জন্য ৩ প্রকার ড্রাগ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই দুটি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। সভায় ১৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মো. জিল্লুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পের আওতায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ‘কোল্ড চেইন ইকুইপমেন্ট’ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের মাধ্যমে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এছাড়া এই কমিটিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সমগ্র দেশে (কক্সবাজার জেলা ব্যতীত) যক্ষ্মা রোগের বিনামূল্যে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ‘টিবিএল অ্যান্ড এএসপি’ অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় যক্ষ্মা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ৩ প্রকার ড্রাগ ক্রয় করা হবে। এজন্য ফ্রাস্টলাইন এন্টি-টিবি ড্রাগস (এফএলডিএস) একমাত্র দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই হেলথ কেয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আজ অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং সরকারি ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের থেকে পাঠানো সব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০৯ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকা।