খুলনা মহানগরীর যোগিপোল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কেবল শিল্প লি. এর সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও খানজাহান আলী থানা ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন (৭০) গত ১৪ জুন মৃত্যু বরণ করেন। পরিবারের দাবী তিনি হৃদরোগে মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে মৃত্যুর ছয় দিন পর গত ১৯ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজর পিসিআর ল্যাবের রির্পোটে দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বজনরা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি দিয়েছেন।
মৃত মোশারফ হোসেনের স্বজনরা মৃত্যুর সঠিক কারণ গোপন করায় তিনি একটি রাজনৈতিক দলের নেতা এবং এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকায় প্রায় হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে তার জানাযায় অুনষ্ঠিত হয়। এছাড়া তার গোসল থেকে দাফন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি সম্পৃক্ত ছিলেন।
প্রতিবেশি দোকানদার ফারুকসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, মোশারফের স্বজনরা মৃত্যুর কারণ গোপন করায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে তার জানাযায় অনুষ্ঠিত হয়। মোশারফ হোসেন জ্বর ও শ্বাসকষ্টের কারণে স্বজনরা গত ১৪ জুন সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা টেস্টের জন্য নুমনা দিয়েছিল এ কথা তারা গোপন রাখে। ঐ দিন বিকাল ৫টায় তিনি মারা গেলে পরের দিন ১৫ জুন জোহরবাদ যোগিপোল ঈদগাহে হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে জানাযা সম্পন্ন হয়। পরবর্তিতে গত ১৯ জুন রির্পোটে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পর গত ২০ জুন এলাকাবাসী জানতে পারে তিনি করোনা পজেটিভে আক্রান্ত ছিল। এরপর থেকে মোশারফের পরিবারের সদস্যরা বাড়ীতে তালা দিয়ে ঢাকায় চলে গেছে।
এ ব্যাপারে মোশারফের স্বজনরা বলেন, গত ২০ জুন আমরা টেস্টের রির্পোট পেয়ে জানতে পারি তিনি করেনা পজেটিভে আক্রান্ত ছিলে। কেন তারা মৃত্যুর কারণ গোপন করলেন এ বিষয়ে কোন উত্তর দিতে পারিনি।
খানজাহান আলী থানার করোনা ইস্যুতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এস আই লুৎফুল হায়দার বলেন, থানার সকল সদস্য হোম কোয়ারিয়েন্টেনে থাকার কারণে অনেক কিছু জানতে পারছিনা। তবে এর মধ্যেও খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে বিন্দু পরিমান পিছ পা হইনা। তবে মোশারফ করোনা পজেটিভে আক্রান্ত ছিলেন এ কথা লোকমুখে শুনেছি।