ডেস্ক রিপোর্ট : বৃষ্টি কমলেও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অলি গলিতে এখনও পানি জমে আছে। এতে করে দুর্ভোগ কাটছে না জলাবদ্ধতায় থাকা এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের। এদিকে এখনো বৃষ্টির পানি নামেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বহদ্দারবাড়ি থেকেও।মঙ্গলবার (২১ জুন) সোয়া ১টার দিকেও চসিক মেয়রের বাড়িতে পানি দেখা যায়।
তবে গত দুইদিনের তুলনায় আজ অনেকটা কমেছে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক যুবক বলেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রবল হচ্ছে। মেয়রের বাড়ি দুই দিন পানিতে তলিয়ে আছে। কবে যে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব, আল্লাহই ভালো জানেন।এদিকে চট্টগ্রামের বাদুরতলার বর গ্যারেজ ও বাকলিয়ার সুরভী আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়কে আজও পানি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন : শপথ নিলেন দুর্গাপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল
সুরভী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা পিয়া বলেন, দুই দিন ধরে বাড়ির সামনের সড়কে পানি। এদিকে আবার বাচ্চার জ্বর। পানি পার হয়ে বাচ্চার জন্য ওষুধ আনতে হচ্ছে। এক কথায়, জলাবদ্ধতায় কষ্টে আছি অনেক।এর আগে সোমবার (২০ জুন) চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছিলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম মহানগরীর বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহানগর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সিডিএ-এ মেগা প্রকল্পের জন্য খালে বাঁধ দিয়েছিল, যেগুলোর বেশিরভাগই অপসারণ করা হয়েছে।কিন্তু কিছু নিম্নাঞ্চলে এখনো কয়েকটি বাঁধ থেকে যাওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে পানি অপসারণ হচ্ছে না।
ফলে বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছে।মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যা থাকবে। তবে মেগা প্রকল্পের আওতার বাইরে যেসব খাল ও নালা রয়েছে সেসব স্থান পরিষ্কার রাখার কাজ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।