আফসানা আক্তার তিসা: খুলনা বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২ জন জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩৭২ জন এবং বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন। ঈদের পর থেকে এই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা জেলা ও সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর জেলা। এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭২ জন, কুষ্টিয়ায় ১৭৮ জন, যশোরে ১৭৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৩৪ জন, ঝিনাইদহে ৭০ জন, সাতক্ষীরায় ৫৮ জন, নড়াইলে ৫১ জন, বাগেরহাটে ৪৮ জন, মাগুরায় ৪৬ জন ও মেহেরপুরে ৩২ জন। আর মারা গেছে খুলনায় ৪ জন, বাগেরহাটে ২ জন, নড়াইলে ২ জন, মাগুরায় ২ জন, মেহেরপুরে ২ জন, যশোরে ১ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষের করোনার পরীক্ষার জন্য তিনটি পিসিআর ল্যাব দায়িত্বে রয়েছে। এগুলো হলো, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য দিয়ে বলেন, খুলনা বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনায় মোকাবিলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপসর্গের মাত্রা বেশি না থাকলে তাদেরকে বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘ঈদের আগে দেওয়ায় ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ খুলনা অঞ্চলে এসেছে। ঈদের সময় লোকজন মার্কেটে ঘুরেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে সংক্রমণ বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিভাগের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে খুলনা জেলা এখন শীর্ষ অবস্থানে। আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ায় নতুন হটস্পট হয়েছে খুলনা মহানগরী এলাকা। করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।’