যশোরে শনাক্ত ১২৭ করোনা রোগীর মধ্যে মারা গেলেন একজন। তিনি শিল্পশহর নওয়াপাড়ার আমির হোসেন (৭৫)। খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেওয়াকালে আজ শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান।
এর আগে গত ৩০ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল খুলনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার যশোরে যে ছয়জনের রেজাল্ট পজেটিভ আসে, তার মধ্যে আমির হোসেনের নমুনাও ছিল।
খুলনা, যশোর ও অভয়নগর উপজেলার সংশ্লিষ্টরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা মহানগরীর বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্ণধার ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, স্ট্রোক ও কিডনি রোগে আক্রান্ত যশোরের নওয়াপাড়া এলাকার আমির হোসেন নামে ওই রোগী এক সপ্তাহ আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার দুপুরে তিনি মারা গেছেন।
তিনি যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন সেই তথ্য তার পরিবার গোপন করেছে। এর ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন বিপাকে পড়েছেন।
ডা. গাজী জানান, হাসপাতালের একটি আইসিইউ এখন লকডাউন করা হবে।
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রহমান রিজভি জানান, গত ৩০ মে আমির হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবার তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর শনিবার তিনি মারা যান।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইনও মৃত আমির হোসেন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নওয়াপাড়ার শংকরপাশা এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আমির হোসেনের আগে যশোরে আর কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন। অবশ্য ঢাকায় মৃত তিন করোনা রোগীকে যশোরে দাফন করা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে মারা গেছেন যশোরের দুইজন।
রাত সোয়া ১১টার দিকে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলোর মধ্যে শুক্রবার যে ছয়টির পজেটিভ রেজাল্ট আসে, তার মধ্যে আমির হোসেনের নমুনাও ছিল। তিনি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে রয়েছেন খুলনায় ৪ জন, বাগেরহাটে ২ জন, নড়াইলে ২ জন, মেহেরপুরে ২ জন যশোরে ১ জন ও চুয়াড়াঙ্গায় ১ জন।