ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৭:৩১, ২৪-০৫-১৯
রমজানের তৃতীয় সপ্তাহেও এসে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে কিছুটা দাম কমেছে বিভিন্ন শাকসবজির৷ বিপরীতে বয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকার ওপরে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, জিগাতলা, রায়ের বাজার সিটি কর্পোরেশন বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মিরপুর. কচুক্ষেত,উত্তরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। কচুরলতি ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৫৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা। এ ছাড়া, কাঁকরোল ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ৬০ টাকা।
তবে পেঁপে ও শসার দাম ৫ টাকা বেড়েছে। পেঁপে ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ লেবু হালি মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এ ছাড়া, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, পুঁই শাক ২০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা আটি।
এছাড়া দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। রসুনের দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। আদা আগের দামে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫-১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। আর লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-১৯০ টাকা।
মুরগির দামের বিষয়ে শান্তিনগরের ব্যবসায়ী রুম্মন ওয়াহেদ বলেন, আজ মুরগির দাম অনেক বেশি। যে লাল লেয়ার মুরগি গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, তা আজ ২৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আর গত সপ্তাহে বয়লার মুরগির দাম ছিল ১৫০ টাকা, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। মোকামে দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। বাড়তি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সামনের সপ্তাহে মুরগীর দাম আবার কমে যেতে পারে।
সেগুনবাগিচায় দেখা যায়, বয়লার মুরগি ১৬০ এবং লাল লেয়ার ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী তানভীর সরকার বলেন, লেয়ার মুরগির দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ টাকা, আজ এক লাফে ২৪০ টাকা হয়েছে। আড়তেই কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেশি দামে কিনতে হয়েছে। যে কারণে আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি।
মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫-৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি।
শান্তিগর ও সেগুনবাগিচার ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে গরুর মাংস ৫২৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে রামপুরা মোল্লা বাড়ি ও হাজীপাড়ার ব্যবসায়ীরা বরাবারের মতো গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ টাকা বিক্রি করছেন। এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা কোন মূল্য তালিকাও ঝুলাচ্ছেন না।
এদিকে মুরগির দাম বৃদ্ধির মাঝেই কমেছে ডিমের দাম। ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছেন ৮০-৮৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০-৯৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা।
ডিমের বিষয়ে হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী জামিল মাহমুদ বলেন, রোজা শুরুর দিকে ডিমের দাম কিছুটা কমেছিল। এরপর গত সপ্তাহে কিছুটা বাড়ে। তবে চলতি সপ্তাহে ডিমের দাম আবার কমেছে। গত সপ্তাহে এক ডজন ডিম ৯০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। কম দামে কিনতে পারায় ক্রেতাদেরও কম দামে দিচ্ছি।