ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়: রুহানি

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২১:০২, ২১-০৫-১৯

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, সংকট সমাধানে সংলাপের ব্যাপারে তার দেশের ঐতিহ্য রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কোনও ধরনের সংলাপে বসবে না তেহরান। বিদ্যমান পরিস্থিতি দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসার উপযোগী নয়। সোমবার তেহরানে আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তার ভাষায়, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সংলাপ ও কূটনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি কিছুতেই (আমেরিকার সঙ্গে) সংলাপের অনুমতি দেব না।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানান, গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি যখন নিউ ইয়র্ক সফর করছিলেন তখন পাঁচজন বিশ্বনেতা তাকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এছাড়া, গত বছরই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আটবার আলোচনায় বসার প্রত্যাখ্যান করে ইরান। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

হাসান রুহানি বলেন, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি মোটেও সংলাপের অনুকূল নয়। আজ আমাদের নীতি হচ্ছে প্রতিরোধ এবং দৃঢ় মনোবল প্রদর্শন করা।

আমেরিকার চাপ ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের মোকাবিলায় ইরানের সরকার ও জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রুহানি।

এদিকে ইরানের প্রতি কঠোর সতর্কতা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  এক টুইট বার্তায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে ইরান ধ্বংস হয়ে যাবে। উপসাগরীয় এলাকায় মার্কিন যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েনের পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে যুদ্ধ চায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আশা করি না। ইরানের এক আইনপ্রণেতাও দুই দেশের উত্তেজনা নিরসনে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। এরমধ্যেই গত রবিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান যদি যুদ্ধ চায় তাহলে তা হবে দেশটির আনুষ্ঠানিক পতন। যুক্তরাষ্ট্রকে আর কোনও হুমকি দিও না।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top