পদবঞ্চিত দুঃসময়ের ৩ ছাত্রলীগ নেতা যা বললেন

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:০৪, ১৭-০৫-১৯

জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহের পর দীর্ঘ সময় নিয়ে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলেও পিছু ছাড়েনি বিতর্ক। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে পদবঞ্চিতদের দাবি অনুযায়ী প্রায় শতাধিক বিতর্কিতকে দেওয়া হয়েছে পদ। কমিটিতে বাদ পড়েছেন হল শাখা থেকে ছাত্রলীগের পদধারী, আওয়ামী পরিবারের অনেকে।

২৯তম জাতীয় সম্মেলনের সময় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভালো অবস্থানে থাকলেও বর্তমান কমিটিতে মেলেনি কোনো পদ।

গত কমিটির উপ-পাঠাগার সম্পাদক ছিলেন সোহেল উদ্দীন। সোহাগ-নাজমুল কমিটিতে সদস্যপদ ছাড়াও মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখার উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার বাবা আবদুস শুকুর, বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম, মেজ ভাই সাহাব উদ্দীন, নানা মকবুল আহমেদ, মামা আব্দুস সালাম বাঙালি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের কমিটিতে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করেন।

বিএনপি-জামায়াতের হামলায়ও বেশ কয়েকবার আহত হন তারা। নতুন কমিটি নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দুঃসময়ে আমি এবং আমার পরিবার সব সময় ছাত্রলীগের পাশে থেকেছে। আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছি। তারপরেও কমিটিতে মূল্যায়িত না হওয়াটা দুঃখজনক।

গত কমিটিতে উপ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন সাইফুর রহমান সাইফ। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হল শাখায়ও প্রচার বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা আবু ইউসুফ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি ও মা মোছাম্মৎ জোসনা উপজেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানতে চাইলে সাইফুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছি। দলের দুঃসময়ে আমি রাজপথে ছিলাম। আমার বাবা-মা দু’জনেই আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত। ছত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। তাও আমাকে সদ্য ঘোষিত ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি কেন তা আমি জানি না। আমি ও আমার পরিবার একাধিকবার বিএনপির মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তবুও আমি রাজপথ ছাড়িনি।

পদবঞ্চিতদের মধ্যে আরেকজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতির পদপ্রত্যাশী হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক হন (সোহাগ-নাজমুল কমিটি)। পরেরবার কেন্দ্রীয় কমিটিতেও রাখা হয়নি। এবারও পদবঞ্চিত থেকেছেন।

তিনি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করলে প্রকারন্তরে সংগঠনেরই ক্ষতি বলে আমি মনে করি। সংগঠনের জন্য শিবিরের হত্যা মামলার বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছি। এভাবে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে সংগঠন চলতে পারে না।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top