সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নিয়েছে ১০টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপের বাচ্চা

এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাট প্রতিনিধি,  Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৭:৫১, ১৬-০৫-১৯

পূর্ব সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বণ্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে ডিম থেকে ১০টি বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের বাচ্চা ফুটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ বাচ্চাগুলি করমজলের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের চৌবাচ্চায় অবমুক্ত করা হয়। বাচ্চাগুলিকে নিবিড় পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজজন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১১ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে তৃতীয় বারের মত ৩২টি ডিম পাড়ে বিরল প্রজাতির একটি ‘বাটাগুর বাসকা’ মাদি কচ্ছপ। দুই মাসের ব্যবধানে প্রথম ধাপে ওই ডিমের মধ্যে ১০টি ডিম থেকে ১০টি কচ্ছপের বাচ্চা ফোটে। বাকি ডিমগুলি এখনও বাচ্ছা ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ বন বিভাগ, আমেরিকার টারটেল সারভাইভাল এলায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু ও প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রর কুমির ও হরিণের পাশাপাশি ২০১৪ সালে গড়ে তোলা হয় বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র। এ প্রজনন কেন্দ্রে সদ্য জন্ম নেওয়া ১০টি বাচ্চা ছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষসহ ১৮০টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ গবেষণার জন্য রয়েছে। এক সময়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ লবণাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত ‘বাটাগুর বাসকা’ বা বড় কাটালি কচ্ছপ। এখন সময়ের বিবর্তনে ও মানব কর্তৃক সৃষ্ট কর্মকান্ডে এই প্রজাতির কচ্ছপ প্রায় বিলুপ্তের পথে। এই কচ্ছপ গুলোর সারাবিশ্বে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। খাদ্য হিসাবেও এর রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। প্রাপ্ত বয়সে একটি কচ্ছপ ২৫-৩০ কেজি ওজনের হয়। এ কচ্ছপ ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

এর আগে করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ২০১৭ সালে ৫৭টি এবং ২০১৮ সালে ২২টি বিরল প্রজাতির একটি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের বাচ্ছা ফোটে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top