বিজ্ঞপ্তি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:৫৮, ১৫-০৫-১৯
এ দেশে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা এত তীব্র হয়েছে সুবিচারের অভাবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ধর্ষক প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। আইনী সীমাবদ্ধতা, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, লোকলজ্জা এবং পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালীদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বাড়ছে তাই শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাস গড়ে তুলতে হবে। যে আইন আছে, বিজ্ঞপ্তি আছে, তা দিয়ে সচেতনতা তৈরি করা এবং অপরাধের ভীতিটা জানাতে হবে।
ইন্টারনেট থেকে পন্যগ্রাফী ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করতে হবে। শিশুরা যেন অবাধে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতে পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি জাতীয় সুরক্ষা কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা, পৃথক শিশু অধিদপ্তর ও জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন গঠন করতে হবে। জনউদ্যোগ,খুলনার আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় বিএমএ’র সেমিনার কক্ষে জনউদ্যোগ,খুলনার আয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমএ’র সভাপতি শেখ বাহারুল আলম। বিষয়বস্তুর উপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। সঞ্চালনা করেন এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জনউদ্যোগের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব তারিক হোসেন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয়নেতা শ্যামল সিংহ রায়, নারীনেত্রী এ্যাডঃ সুলতানা রহমান শিল্পী, সুতপা বেদজ্ঞ,খুলনা উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, আয়কর আইনজীবী সমিতির এস এম শাহনওয়াজ আলী, জেপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এ্যাডঃ মোমিনুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পাটির শেখ মফিদুল ইসলাম, নির্যাতিত নারী অধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এ্যাডঃ তসলিমা খাতুন ছন্দা, সেফের সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান, শান্তিসদনের প্রতিষ্ঠাতা রসু আক্তার, পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালকএম নাজমুল আজম ডেভিড, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সিলভী হারুণ,মহিলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মনিরা সুলতানা, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার ইসরাত আরা হীরা, আলীজ একাডেমীর সভাপতি সৈয়দ আলী হাকিম, নান্দিক একাডেমীর পরিচালক জেসমিন জামান, সঞ্জয় কুমার মল্লিক, নূরুন নাহার হীরা, বনানী সুলতানা, সালমা সুলতানা, বেদৌরা আফরোজ, আলমাস আরা, মোঃ মশিউর রহমান, মোঃ আসিফ ইকবাল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন। তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন। অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে।