বাগেরহাট প্রতিনিধি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২০:৩৭, ১০-০৫-১৯
বাগেরহাটের শরণখোলায় গৃহবধু লাকি বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামী ঘাতক স্বামাী নূরুল আমিন হাওলাদারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ২১ ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানার এসআই সুদেব পাল জানান, মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে নূরুল আমিনের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে এসআই আমির হোসেনসহ পুলিশের একটি দল নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশের সহায়তায় রাত ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শরণখোলায় নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া সাতঘর এলাকার নিজ বসত ঘরে নূরুল আমিন তার স্ত্রী লাকি বেগমকে (২৬) সিলিং ফ্যানের বাট দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে করে হত্যা করে। পরে ঘাতক তার আট বছরের ছেলে জিহাদ ও দুই বছরের মেয়ে জেরিনকে নিয়ে তার এক বোনের বাসায় রেখে পালিয়ে যায় নূরুল।
বৃহস্পতিবার সকালে লাকির ভাই নূরুল ইসলাম হাওলাদার বাদি হয়ে তার ভগ্নিপতিসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে শরণখোলা থানা একটি হত্যা মামলা দায়েরক করেন। এ মামলার সূত্র ধরে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, আট বছর আগে রায়েন্দা ই্উনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আ. হক হাওলাদারের ছেলে নূরুল আমিনের সাথে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া কালিবাড়ি গ্রামের খলিল হাওলাদারের মেয়ে লাকির বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই বিভিন্ন কারণে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এই কলহের জের ধরেই হত্যান্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নূরুল আমিন ভারতের কেরালায় তার শ্বশুরের ভাঙ্গারির ব্যবসা দেখাশুনা করতো। ঘটনার আগেরদিন বুধবার (৮ মে) সে ভারত থেকে দেশে আসে।