আশাশুনিতে ফণির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে বিঘ্ন

আশাশুনি প্রতিনিধি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:৩৩, ০৮-০৫-১৯

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আঘাতে আশাশুনি উপজেলায় ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পবিত্র রমজানের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তেমন প্রভাব সৃষ্টি না হলেও সামনে ক্লাস পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে আশাঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে আশাশুনিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জান মালের ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব থেকেই সরকারি ভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। ফলে জীবনের ক্ষতি না হলেও ধান ফসল ও আম ফসলের পাশাপাশি শাক-সব্জীর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অনুরূপ ভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, দোকান-পাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্থ ও ঘরের ছাউনি উড়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাজী জালাল উদ্দিন আদর্শ কলেজের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। পূর্ব কাদাকাটি জেকেটি নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। গোদাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল ক্ষতি হয়েছে। কচুয়া বিএইচবিপি আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। বলাবাড়িয়া আমজাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ক্ষতি হয়েছে। নাকনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে ক্ষতি হয়েছে। আনুলিয়া পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল ক্ষতি হয়েছে।

ফকরাবাদ জেবি নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। বুধহাটা এনএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। সরাপপুর মশিউরিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। পুইজালা বিএমআরবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আশাশুনি দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। রাজাপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

চাকলা দাঃ সুঃ আমিনিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। বদরতলা জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। কুড়িকাহুনিয়া এ এস (রাঃ) মহিলা দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতাপনগর আল আমিন মহিলা আলিম মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। জেডিকেএফ গোয়ালডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

বিপিএনকে চিলেডাঙ্গা ওসমানিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। নৈকাটি দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। বুধহাটা কওছারিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। নাংলা ডিজি কপোতাক্ষ দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে এবং দেয়াল ও প্রাচিরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সর্বমোট এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে ঘরগুলো ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আগামী ঈদ-উল- ফিতরের পর স্কুল ও মাদরাসা খোলার আগেই এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার বা পুন নির্মানের ব্যবস্থা না নিলে ক্লাশ পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম বিপত্তি নেমে আসতে পারে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান উল্লেখ পূর্বক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানান হয়েছে। আশা করা যায় যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top