পাকিস্তান ছেড়েছেন আছিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:১৮, ০৮-০৫-১৯

ধর্ম অবমাননার আইনে (ব্লাসফেমি) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর উচ্চ আদালতের রায়ে তা থেকে থেকে মুক্তি পাওয়া খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবি পাকিস্তান ছেড়েছেন।

একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বুধবার এতথ্য জানানো হয়েছে।

২০১০ সালে প্রতিবেশীর সাথে বাক-বিতণ্ডার সময় আছিয়া বিবি ইসলাম ধর্ম ও নবীকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর আদালত তাকে সাজা দেয়।

গত বছর উচ্চ আদালত এই নারীকে মুক্তি দিলে আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাকিস্তানের রাস্তায় সহিংস বিক্ষোভ হয়। সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানায়, আছিয়া বিবির বিরুদ্ধে মামলাটিতে বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি।

বিবিসি বলছে, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আছিয়ার দেশত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করেনি; কখন এবং কীভাবে কোন দেশে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন সে বিষয়েও কিছু জানায়নি তারা।

তবে আছিয়ার আইনজীবী সাইফ উল মালুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আছিয়া ইতিমধ্যে কানাডায় পৌঁছেছেন। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকবেন তিনি।

আছিয়া বিবির প্রকৃত নাম আসিয়া নরিন। কিন্তু তিনি আসিয়া বিবি হিসেবে পরিচিত। তার স্বামী রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় আবেদন করেছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান ছাড়ার প্রস্তুতি চলছিল আছিয়ার। সে অনুযায়ী একটি গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল তাকে।

জাতীয় ধর্ম ইসলামের দেশ পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার জন্য কঠোর আইনের পক্ষে জোরালো জনমত রয়েছে।কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরা প্রায়ই এ আইনের আওতায় কঠোর শাস্তি সমর্থন করেন।

অবশ্য সমালোচকরা বলেন, অনেক সময় ব্যক্তিগত বিরোধের বিষয়ে প্রতিশোধ নেবার জন্য ব্লাসফেমি আইন ব্যবহার করা হয়।

দেশটিতে ব্লাসফেমি আইনে যারা দোষী সাব্যস্ত হন তাদের বেশিরভাগ আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের। কিন্তু ১৯৯০’র দশক থেকে বেশ কিছু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ব্লাসফেমি আইনে সাজা পেয়েছেন।

পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১.৬ শতাংশ খ্রিস্টান। ১৯৯০ সাল থেকে ব্লাসফেমির অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে অন্তত ৬৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top