ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৪:৩৪, ০৭-০৫-১৯
শ্রীলংকায় ইস্টার সানডের দিন গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলার পর দেশটি থেকে ২০০ মুসলিম নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ৬০০ বিদেশি নাগরিককেও বহিষ্কার করেছে দেশটি। খবর এএফপির।
স্থানীয় ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) গত ২১ এপ্রিলের জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলংকা। এরপরই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসলো।
শ্রীলংকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্যাজিরা অ্যাবেওয়ার্দেনা বলেন, বহিষ্কৃত মুসলিম নেতারা শ্রীলংকায় বৈধভাবেই প্রবেশ করেছেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা শ্রীলংকায় অবস্থান করছিলেন। এ কারণে তাদের জারিমানা করে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২১ এপ্রিলের ধারাবাহিক হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতির বিবেচনায় আমরা ভিসা দেওয়ার পদ্ধতি পর্যালোচনা করে দেখছি। ধর্মীয় নেতাদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বিধিনিষেধগুলো আরো কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা কোন দেশের নাগরিক সে বিষয়ে কিছুই জানাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে দেশটির পুলিশ বলছে, বহিষ্কৃতরা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ এবং পাকিস্তানের নাগরিক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এমন অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিদেশ থেকে ধর্মপ্রচারক আনে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সম্প্রতি তাদের কেউ কেউ সমস্যা তৈরি করছে। ফলে আমরা এবার তাদের প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দেব।
গত ২১ এপ্রিল শ্রীলংকার তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আট স্থানে বোমা হামলায় ২৫৩ জন নিহত এবং হাজারও মানুষ আহত হন।
বোমা হামলার তিনদিন পর দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।এই গোষ্ঠীর নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম আমাক নিউজ এজেন্সি একথা জানায়। তারা সংবাদমাধ্যমটিতে হামলাকারীদের ছবিও প্রকাশ করে।
ওই হামলার মূল হোতা ছিলেন জাহরান হাশমি নামের স্থানীয় এক ইসলামি নেতা। যিনি ভারতে গিয়েছিলেন কয়েকবার এবং সেখানকার জিহাদিদের সঙ্গে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হামলার পর থেকে শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে সন্দেহভাজনদের আটক ও দীর্ঘ সময় ধরে আটক করার বাড়তি ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।