ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২১:১৯, ০৬-০৫-১৯
খুলনায় বুকে গাছ ও পায়ে রশি বাঁধা অবস্থায় ভৈরব নদ থেকে ইয়াসির আরাফাত (১২) নামের এক এতিম কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরফাত খানজাহানপুর গ্রামের কাজী আবু মোকারাম দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো।
সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে ফুলতলা উপজেলার খানজাহানপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের বাড়ির পাশের ভৈরব নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার (৫ মে) সকাল ১১টার পর থেকে আরাফাত নিখোঁজ ছিলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে ভৈরব নদে তার বুকে কলা গাছের ছড়া দিয়ে বাঁশ ও পায়ে রশি বাঁধা অবস্থায় মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, খানজাহানপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা শাহানাজ বেগম মাত্র চারদিন বয়সে এতিম আরাফাতকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে তিনি মায়ের স্নেহে তাকে লালন-পালন করছিলেন। সম্প্রতি শাহানাজ বেগম তার জমি আরাফাতের নামে উইল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে তার দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও তার ছেলে রাজ শাহানাজের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজ ও আরাফাতসহ ৪/৫জন কিশোর ভৈরব নদে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে রাজ আরাফাতের পায়ে রশি বেঁধে দিলে সে পানিতে ডুবে যায়। তবে ঘটনাটি তারা গোপন রেখেছিল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজকে ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খানজাহানপুর গ্রামের কাজী আবু মোকারাম দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র ওমর ফারুক (১১), তাইহিদ (১০) ও রাব্বি (১২) নামের তিন কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় কিশোর অপরাধ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।