কাদের সম্পূর্ণ সুস্থ, ফিরবেন শিগগিরই: হাছান মাহমুদ

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৬:৪৩, ০৫-০৫-১৯

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরকে দেখে এসে তিনি বলেন, সেতুমন্ত্রী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন।

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান। গত রোববার এ দুই নেতার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়।

নেপালের কাঠমান্ডুতে এশিয়া প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (এপিবিইউ) পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ শনিবার সিঙ্গাপুরে যান। রোববার সন্ধ্যায় তিনি সেখানে অবস্থানরত ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার সাময়িক নিবাসে সাক্ষাৎ করতে যান।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এ সময় দুই নেতাকে আন্তরিক পরিবেশে কথা বলতে দেখা গেছে। ওবায়দুল কাদেরও অনেকটা সেরে উঠেছেন বলে মনে হয়েছে। সোমবার রাতে তিনি দেশে ফিরেন।

এদিকে ওবায়দুল কাদের অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণে (মর্নিং ওয়াক) বের হচ্ছেন তিনি। রোববার সকালেও তিনি একটি সুইমিংপুলের পাশে হাঁটাহাঁটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। রোববার সকালে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে ওবায়দুল কাদেরের প্রাতঃভ্রমণের একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

এতে দেখা যায়, ওবায়দুল কাদের অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছেন। এ সময় সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে একজন বিদেশি নাগরিককে হাঁটতে দেখা গেছে।

এদিকে বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুমন্ত্রী এখন অনেকটাই স্ট্যাবল। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার পরই দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। কোনো বিপত্তি না ঘটলে ১৫ দিন পরই ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন।

শেখ ওয়ালিদ জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের দুই সপ্তাহ পর দেশে ফেরার আশাবাদ প্রকাশ করেন।

বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন।

২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।

প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।

সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।

ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top