ভারতে আশ্রয়কেন্দ্রের ১১ কিশোরীকে খুন করে গুম

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৬:৩৩, ০৫-০৫-১৯

ভারতের মুজাফ্‌ফরপুরে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র অডিট করতে গিয়ে ১১ কিশোরীকে খুন করে মাটিচাপার ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।

সুপ্রিমকোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এক হলফনামায় সিবিআই জানিয়েছে, ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি কিশোরীকে খুন করে পুঁতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একটি কবরস্থানের বিশেষ জায়গা থেকে প্রচুর হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও তদন্তে ওই ১১ কিশোরীর নামও উঠে এসেছে।

এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ইস্তফা দেয়া উচিত বলে দাবি করেছে আরজেডি। তাদের দাবি- নীতিশ ইস্তফা না দিলে রাজ্যপালের উচিত রাজ্যসরকারকে বরখাস্ত করা।

টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিস) পক্ষ থেকে রাজ্যের কিশোর সংশোধনালয়েগুলোতে গত বছর বিশেষ অডিট করা হয়।

সেই অডিট রিপোর্টেই বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত মুজাফফরপুরের এই হোমে আবাসিকদের ওপরে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে।

২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ছয় কিশোরী ওই হোম থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে মামলাটির তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

ইতিমধ্যে ব্রজেশ ঠাকুরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার আদালতে সিবিআই জানায়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেসের বিশেষ দলের উপস্থিতিতে তদন্তকারী অফিসাররা প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই হোমে নির্যাতনের শিকার হওয়া অন্য কিশোরীদের দেয়া বয়ান থেকে ব্রজেশ ঠাকুরের হাতে খুন হওয়া ওই ১১ কিশোরীর নাম জানতে পেরেছেন।

হলফনামায় সিবিআই জানিয়েছে, ‘বালিকা গৃহ’ নামে মুজাফ্‌ফরপুরের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে কমবেশি ৩৫ জনের মতো কিশোরী ছিল। আবাসিকরা জানিয়েছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসে ওই কিশোরীদের ওপরে শারীরিক ও যৌন অত্যাচার চালাত।

সিবিআই জানায়, জেরার মুখে গুড্ডু পটেল নামে এক অভিযুক্ত কবরস্থানের একটি বিশেষ অংশ চিহ্নিত করেছে। অভিযোগ, সেখানে ব্রজেশ খুন হওয়া কিশোরীদের দেহচাপা দেয়। পরে সেখান থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top