ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৭:০৪, ০৫-০৫-১৯
দেশের বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কৌশলপত্রের বিপরীতে শিগগিরই পাল্টা কৌশলপত্র প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত ১১ ও ১২ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যলয় চাই : উচ্চশিক্ষা, নীতিমালা, কাঠামো’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এক কনভেনশনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ড. ফাহমুদিল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নবগঠিত এই সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কনভেনশনে শিক্ষকদের পর্যালোচনায় উঠে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের কথা তুলে ধরেন অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।
কনভেনশনে ছয়টি সমাধানের প্রস্তাবও আসে। সেগুলো হলো- সরকারকে উদার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মতো করে চলতে দিতে হবে, বিশ্বব্যাংক প্রণীত বাণিজ্যিকীকরণের নীতি থেকে সরে আসতে হবে। তিয়াত্তরের অধ্যাদেশের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় সংস্কার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মালিকদের একচেটিয়া ক্ষমতা থেকে উদ্ধার করতে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ, পাঠদানে শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে পরিবর্তন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আনু মুহাম্মদ বলেন, এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা শোনা যাচ্ছে। এই বরাদ্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নির্মাণ ও কেনাকাটা। শিক্ষা-গবেষণায় বরাদ্দ না বাড়িয়ে এ ধরনের বরাদ্দে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি দূষিত আবহাওয়া তৈরি করা হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন শিক্ষা বা গবেষণার চেয়ে সরকারদলীয় আনুগত্য প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে।