হারুন অর রশিদ, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২১:৫৩, ০৩-০৫-১৯
ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় তিন উপজেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। দেরি করে চাষাবাদের ফলে অনেক স্থানে পুরোপুরি পাকেনি ধান। যে কারনে মন চাইলেও ধান ঘরে তুলতে পারেনি অনেকেই।
সূত্র অনুযায়ি, এবার বোরো মৌসুমের শুরুতে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে খুলনায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। তবে কৃষকের মুখের সেই হাসি মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। জমিতে পাকা ধান রেখেই জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে হচ্ছে তাঁদের।
ঝড়ের পূর্বাভাসের জন্য ধানের ৮০ শতাংশ পাক ধরলেই অনেক কৃষক তড়ি-ঘড়ি তা কেটে ফেলেছেন। শ্রমিকের অভাবে অনেকেই কাটতে পারেননি। বটিয়াঘাটা ও কয়রা এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার ধান এখনো রয়ে গেছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্তও অনেকে ধান কাটার কাজ করছেন।
কয়রা মহারাজপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী নামের এক কৃষক জানান, এবার প্রায় ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন তিনি। ঝোড়ো আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কারণে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধান পেকে যাওয়ার আগেই তিন বিঘা জমির ধান কেটে ফেলা গেছে। আরও এক সপ্তাহ সময় পেলে বাকি ফসলটুকুও ঘরে তোলা যেত।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্তও অনেক কৃষক ধান কাটার কাজ করেছেন।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার বলেন, এবার খুলনা জেলায় ৫৯ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। যেসব এলাকায় দেরিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে, সেসব এলাকায় ধান কাটা হয়নি।