রামপাল প্রতিনিধি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২১:৩০, ০২-০৫-১৯
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘ফনী’ শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । এ অবস্থায় রামপালে জনমনে ভীতিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে। সমূদ্র উপকুলবর্তী এলাকা হওয়ায় ফনী আছড়ে পড়লে এই এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে দূপুর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও দমকা হাওয়ার কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ঘূর্নিঝড়ের কারনে আবহাওয়া অফিস থেকে মংলা সমূদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল প্রবর্তনকে বলেন , ঘূর্নিঝড় ‘ফনী’ কে ঘিরে দূর্যোগ মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা দূর্যোগ প্রস্তুতি সভা ও এলাকায় মাইকিং করেছি এবং আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা দূর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা সজাগ অবস্থানে আছে। কাল থেকে আমাদের স্কুল কলেজ ও আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ খোলা থাকবে এবং আশ্রয়নকেন্দ্রসমূহে লোক আনা শুরু হবে। আমাদের মেডিকেল টিম সহ সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) তপন কুমার বিশ্বাস প্রবর্তনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলা সদরসহ নয়টি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ৭৫টি ইউনিয়নে ৭৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কয়েক শত স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসবের পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য জেলার সর্বত্র মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভিডিও: ঘূর্নিঝড় ‘ফনী’ সতর্কতায় মাইকিং করছে রামপাল উপজেলা প্রশাসন।