ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২২:০৫, ২৭-০৪-১৯
ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যু আগুনে পুড়েই হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটি শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েছি। ফেনীর পিবিআইকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আগামীকাল রোববার সকালে এসে রিপোর্টটি গ্রহণ করবেন।
ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, আগুনে পুড়েই মৃত্যু হয়েছে নুসরাতের। অন্য কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটি শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদকে প্রধান করে নুসরাতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন— প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। গত ১১ এপ্রিল তারা নুসরাতের ময়নাতদন্ত শুরু করেন।
নিহত নুসরাত জাহান রাফি ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। নুসরাতকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই সময় থেকেই অধ্যক্ষ কারাগারে রয়েছেন। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষের ভাগ্নি পপি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। তার শরীরের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।
নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই ৮ এপ্রিল একটি মামলা করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে আট আসামির নাম এজাহারে রয়েছে।