চিতলমারী প্রতিনিধি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:০১, ২৭-০৪-১৯
বাগেরহাট-পিরোজপুর জেলা সীমান্ত মধ্যবর্তী বলেশ্বর নদের প্রায় আড়াইশ’ বিঘা (স্থানীয়ভাবে ৮০ শতকে এক বিঘা) জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে চিতলমারী ও নাজিরপুর উপজেলার গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আহত আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রতিপক্ষের ঢাল-সড়কির কোপ এবং মারপিটের আঘাত আহতদের শরীরে রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই জেলার শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল চিতলমারীর উমাজুড়ি ও নাজিরপুরের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামে উভয় পক্ষকে নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছেন চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুসাঈদ, নাজিরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ মাঈনুল হাসান, চিতলমারী থানার পরিদর্শক অনুকুল সরকারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বৈঠক সম্পর্কে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুসাঈদ সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধ নিরসনের জন্য দ্ইু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ধান কেটে জমির প্রকৃত মালিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের সদস্য কৃষ্ণপদ রায় জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে নাজিরপুরের মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমবানিয়ারী গ্রামের সমীর বিশ্বাস ও এমাদুল শিকদারের নেতৃত্বে শতাধিক গ্রামবাসি চিতলমারী উপজেলার উমাজুড়ি ও বানিয়ারী গ্রামের ধান কাটতে আসে। তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উমাজুড়ি গ্রামের লিয়াকত মোল্লার পুত্র শরিফুল (৩২), হাতেম আলীর পুত্র লিয়াকত মোল্লা (৫৫), সিরাজ মোল্লার পুত্র মাসুম (৩০)সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
অপরপক্ষে, নাজিরপুর উপজেলার পশ্চিমবানিয়ারী গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের পুত্র সমীর বিশ্বাস জানান, চিতলমারী উপজেলার উমাজুড়ি গ্রামবাসী তাদের প্রায় আড়াইশ’ বিঘা (স্থানীয়ভাবে ৮০ শতকে এক বিঘা) জমির ধান কেটে নেয়ার সময় বাধা দিলে তাদের গ্রামের সমর বিশ্বাসের মেয়ে নুপুর বিশ্বাস (২১), মোবারক শিকদারের ছেলে এমাদুল শিকদার (৪০), হরষিত বিশ্বাসের ছেলে সমর বিশ্বাস (৪৫), ভিষ্মদেব বিশ্বাসের ছেলে বিদ্যুৎ বিশ্বাস (৩০) ও বিধান বিশ্বাসকে (৩০)সহ আরো চারজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতদের মধ্যে উভয় পক্ষের আটজনকে চিতলমারী ও নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতোপূর্বে গত ০৩ মার্চ উভয় পক্ষের বিরোধের জের ধরে কয়েকটি বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়। সে বিষয়ে মামলা চলছে বলে স্থানীয়রা জানান।