খুলনার ১৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞপ্তি, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৯:৩৭, ২৪-০৪-১৯

খুলনার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ১৩৭ বছর পূর্তিতে “খুলনা দিবস-২০১৯” উপলক্ষে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১.০০ টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন ১৮৪২ সালে খানজাহান আলী (রা:) স্মৃতি বিজড়িত ভৈরব-রূপসা বিধৌত পূর্ণভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। খুলনা মহাকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থানের কারণে খুলনার গুরুত্ব অনেক বেশি হওয়ায় মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬ শত ৩০ বর্গ মাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫ শত জনসংখ্যা অধ্যুসিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং খুলনার প্রথম জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি. ডাব্লিউ এম ক্লে দায়িত্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে খুলনা জেলার কার্যক্রম শুরু হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা আমাদের এই খুলনা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক অনেক গুন পিছিয়ে। তারপর ও এ অঞ্চলের উপর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি থাকার কারণে এ অঞ্চলে কিছুটা উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ পরবর্তিতে খুলনায় উন্নয়নের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় সম্প্রতি খুলনায় গ্যাস সরবরাহ করার জন্য যে পাইপ লাইন বসানো হয়েছিল, সে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে এবং সেগুলো বিক্রি করে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকল্পটি পুনরায় চালু করার জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়াও খুলনায় বিমান বন্দর দ্রুত বাস্তবায়ন, খুলনা মেডিকেল কলেজকে ১০০০ বেডে উন্নীতকরণসহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা, শহর রক্ষা বাঁধসহ রূপসা ও ভৈরব নদীর তীঁর ঘেষে রিভারভিউ রোড ও পার্ক নির্মাণ, মেরিন একাডেমি, ক্যাডেট কলেজ, বয়রা মেইন রোড সম্প্রসারণসহ খুলনা টেক্সটালইল পল্লী দ্রুত বাস্তবায়ন, মংলা সমুদ্রবন্দর ও ভোমরা স্থল বন্দরের আধুনিকায়ন, ভৈরব নদীতে আধুনিক ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ এবং ভৈরব নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ, আধুনিক পাবলিক হল নির্মাণ, খুলনায় শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন, সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের প্রসারসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এসময়ের যুব সমাজের কথা চিন্তা করে তিনি উল্লেখ করেন যুব সমাজকে মাদকের করাল থাবা থেকে দুরে সরানো একমাত্র মাধ্যম হল ক্রীড়ার বিস্তার ঘটানো। আমাদের খুলনায় স্টেডিয়াম গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ এখানে যেন আরো বেশি বেশি আন্তর্জাতিক খেলা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

ঐতিহ্যবাহী খুলনার ১৩৭ বছর পূর্তিতে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আয়াজনে আগামী ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ উন্নয়ন ভবন এর মাঠে ৪ (চার) দিন ব্যাপী “খুলনা দিবস মেলা-২০১৯” এর শুভ উদ্বোধন, ২৭ এপ্রিল সকাল ৯.০০ টায় বর্ণিল আয়োজনে খুলনার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত বর্ণাঢ্য র‌্যালী এবং সন্ধ্যায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আলহাজ¦ শেখ মোশাররফ হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মো: মাজহারুল হান্নান, প্রকৌশলী আজাদুল হক, সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো: আবুল বাসার, শেখ আবুল কাশেম, মামনুরা জাকির খুকুমনি, বিশিষ্ট নাগরিক নেতা এ্যাড কুদরত-ই-খুদা, এযুগ্ম-মহাসচিব মো: মনিরুজ্জামান রহিম, মো: মিজানুর রহমান বাবু, আফজাল হোসেন রাজু, মো: মিজানুর রহমান জিয়া, মহিলা সম্পাদক রসু আক্তার, নুরুজ্জামান খান (বাচ্চু), মো: রকিব উদ্দীন ফারাজী, সামছুল কাদের মজনু, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মো: খলিলুর রহমান, মোল্লা মারুফ রশীদ, মীর বরকত আলী, বিশ্বাস জাফর আহমেদ, অধ্যাপক মো: আজম খান, মো: মিজানুর রহমান টিংকু, গোলাম রব্বানী ভূইয়া, এস এম দেলোয়ার হোসেন, কাজী মিরাজ হোসেন, মো: আতিয়ার রহমান প্রমুখ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top