এবার ফেরদৌস সর্ম্পকে যা বললেন মোদি

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৬:০৭, ২০-০৪-১৯

চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা চালিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমদ।

এবার সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও ফেরদৌসের সমালোচনা কলেছেন ভারতের প্র্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শনিবার এক নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি বিষয়টিকে তৃণমূলের খারাপ অবস্থার নিদর্শন বলেই তুলে ধরেন। বুনিয়াদপুরের এক নির্বাচনীয় জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় মোদি বলেন, তৃণমূলের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। বিদেশ থেকে লোক এনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোতে সেটিই প্রমাণ হচ্ছে। অথচ ভারতের ইতিহাসে কখনোই বিদেশীদের নিয়ে এসে প্রচারণা চালানোর নজির ছিল না।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্য করে মোদি বলেন, তৃণমূলের ভোট ব্যাংকের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারেন মমতা।

মমতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মোদি এ জনসভায় আরো বলেন, বাংলার মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। রাজ্যে উন্নয়ন নেই। যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন না। সন্ত্রাস চলছে। তৃণমূল চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। এ সরকার থেকে মুক্তির জন্য এখন বিজেপিকে ভোট দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দিদির স্বপ্নে স্পিড বেকার পড়ে গিয়েছে। পিসি ভাইপো মিলে বাংলার সর্বনাশ করছেন।

বাংলার ভোটারদের মন জিততে বুনিয়াদপুরের সভায় বেশ কিছু সময় বাংলা ভাষণ দেন মোদি। তিনি বলেন, এই বৈশাখের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেও হাজার হাজার মানুষ এই সভায় এসেছেন। বিজেপির প্রচারে মানুষ অংশ নিচ্ছেন।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, পুরো দেশ বলছে পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু হতে চলেছে। বাংলায় বিজেপির সমর্থনের ঢেউ বইছে। বিজেপির জনসমর্থন দেখে দিদির ঘুমে স্পিড বেকার পড়ে গিয়েছে।

এদিকে ফেরদৌস সম্পর্কে মুখ খুলেছেন তার অনেক দিনের সহকর্মী ঋতুপর্নাও। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, আইনটা জানা ছিল না তার (ফেরদৌসের)। ভারতীয় ওই আইন বিষয়ে জ্ঞান থাকলে এভাবে প্রচারণায় অংশ নিতেন না তিনি। তার ব্যাপারে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টা বিবেচনায় রাখা উচিত।

উল্লেখ্য, ৫০টিরও বেশি কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস । এর মধ্যে ১৫টি চলচ্চিত্রে তিনি ঋতুপর্ণার বিপরীতে অভিনয় করেছেন। সে হিসাবে ঋতুপর্ণার সঙ্গে ফেরদৌসের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে।

সম্প্রতিক ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় তৃণমূলের পক্ষে অংশ নিয়ে বেশ সমালোচিত হন ঢাকার চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। বিষয়টি দেশটির প্রশাসনের নজরে এলে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হয়ে ভিসা বাতিল হয় তার। ১৬ এপ্রিল রাতেই ঢাকা ফিরতে হয় তাকে ।

দেশে ফেরার পরেও সমালোচনা ও তিরস্কার পিছু ছাড়েনি ফেরদৌসের। এ অবস্থায় ভুল করেছেন স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন ফেরদৌস। তিনি বলেন, আবেগতাড়িত হয়ে ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top