ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িতদের বহিষ্কার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২২:৩৯, ২১-০৩-১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন সেশনে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, কোটা আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, স্বতন্ত্র জোটের সাবেক ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান প্রমুখ।

নুরুল হক বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁস, জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকে ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করেছে। জালিয়াতির বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়েছে প্রশাসন। এটি প্রশাসনের জন্য কলঙ্কিত ঘটনা। সাংবাদিকরা জালিয়াত চক্রের এসব সদস্যদের অনুসন্ধান করে বের করেছে। যারা জালিয়াতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাদের সবাইকে সিন্ডিকেটের সভার মাধ্যমে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। পাশপাশি তাদের ছবিসহ পরিচয় বিজ্ঞপ্তি আকারে পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইসলাম বলেন, যখন প্রশ্নফাঁস হয়, তখন প্রশাসন বলে হয়নি, ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছিল। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো- তাহলে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমেও কী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়? জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ শিক্ষার্থী একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আছেন। তারা দাপট দেখিয়ে ক্যাম্পাসে চলছেন।

ডাকসুর এজিএস ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও জালিয়াত চক্রের সদস্যদের বহিষ্কার চেয়েছেন।

যখন সকল ছাত্র সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী একমত, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাহলে কি আমরা ভেবে নেবো এখানে প্রশাসনের হাত রয়েছে? সাদ্দাম হোসেন জালিয়াতি করা শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘মেধাবীদের পাঠশালায় জালিয়াতির ঠাঁই নেই’, ‘আমার ক্যাম্পাস রাখবো জালিয়াত মুক্ত’, ‘মেধাবীদের ঢাবিতে জালিয়াত চক্রের ঠাঁই নেই’, ‘জালিয়াতের ঠিকানা ঢাবিতে হবে না’, ‘জালিয়াত চক্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, চিটিং বাটপার জালিয়াত এই মুহূর্তে ঢাবি ছাড়’সহ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

এছাড়া এদের বহিষ্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগগুলোর চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানানো হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top