বিও অ্যাকাউন্ট করতে টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২১:২৬, ১৬-০৪-১৯

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন (আয়কর সনদ) বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টেইনলেস স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আমাদের একদিন আলোচনার প্রসঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং আরো কয়েকটি ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ছিল। আমি প্রাসঙ্গিকক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাহী পরিচালকদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আপনাদের বিও অ্যাকাউন্ট খোলায় জন্য টিআইএন লাগে কিনা। কিন্তু একটি সংবাদপত্রে লেখা হয়েছিল বিও অ্যাকাউন্ট করতে টিআইএন বাধ্যতামূলক হচ্ছে।

বর্তমানে পুঁজিবাজারে সূচক কমার অনেকগুলো কারণের মধ্যে টিআইএন ইস্যুটিও নাকি একটি বলে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এনবিআর চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখন যে পদ্ধতিতে বিও খোলা যায় ভবিষ্যতেও একই পদ্ধতিতে বিও খোলা যাবে। বিও অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক হবে না।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন করার ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ সুবিধাগুলো একেবারেই ফেলে দিতে পারবো না। কাজেই কিছু কিছু জায়গায় আমরা এই বিশেষ সুবিধাটা রাখবো।

তিনি আরো বলেন, কাস্টমস ডিউটি কিভাবে কমানো যেতে পারে সে বিষয়টি আমরা দেখবো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুধু রাজস্ব আহরণেই কাজ করে না, দেশের শিল্পায়ন এবং ব্যবসা বাণিজ্য কিভাবে বৃদ্ধি পাবে সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি।

বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও শিল্পায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ছোট এবং মধ্যম শিল্প গড়ে কিভাবে আরো বেশি রেভিনিউ পাওয়া যায় সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা সবার প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আগামী বাজেটে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সভায় রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশন সংশ্লিষ্ট কর ও ফি ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা, আবাসনখাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদী রিফাইন্যান্সিং চালু এবং ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন, বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের যুগপোযোগী সংশোধনসহ একাধিক প্রস্তাব করা হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top