বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২১:২৫, ১৬-০৪-১৯

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর এটি না হলে পুরো মতিঝিল জুড়ে সাধারন বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ ভয়ানক রূপ নেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী। মঙ্গলবার শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।

জানা গেছে, শেয়ারবাজারে অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬০ পয়েন্ট নেই। শেয়ারবাজারের এমন পতন মানতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। যে কারনে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে তারা। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও প্রতিবাদের জন্য রাজপথে নেমেছে বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে চলাচলের রাস্তা কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল।

মিজানুর রশীদ বলেন, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের জন্য এখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর এই আস্থা ফিরে আসবে একমাত্র খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করলে। যে পর্যন্ত শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে একজন নীতিবান বিনিয়োগবান্ধব মানুষ দায়িত্ব না নেবে, সে পর্যন্ত সাধারন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না, তাদের নিরব কান্না শেষ হবে না।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারকে তার অভীষ্ট লক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খায়রুল হোসেনকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বের অবহেলা করে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ইসু্যুয়ার কোম্পানির দালালী করছেন। যার প্রভাবে পুরো বাজার আজ ধংসের মুখে।

মানববন্ধনে এক সাধারন বিনিয়োগকারী বলেন, শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে গত সপ্তাহ থেকে আমরা রাস্তায় অবস্থান করছি। বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী করার জন্য খায়রুল হোসেনের পদত্যাগসহ মোট ৬ টি দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। এরকম চলতে থাকলে ২০১০ এর মত আরেকটা বড় ধসের সম্মুখীন হবে শেয়ারবাজার।

বিনিয়োগকারীরা বাজারের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করে বলেন, দেশের অর্থনীতি এবং জনগনের স্বার্থে শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top