ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২১:১০, ১৬-০৪-১৯
দেশে ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিশেষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংকিং খাতের একটি বড় সমস্যা। ব্যাংকের অনিয়ম-জালিয়াতি রোধ করাও এখন এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে এ খাতের সংস্কারের বিষয়টিও বহুল আলোচিত। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো এ ক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা, এটা এক বড় প্রশ্ন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। এ খাতে সুশাসন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবের বিষয়টিও বিশেষভাবে আলোচিত। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করলেও দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার সেভাবে হচ্ছে না।
এ প্রেক্ষাপটে রোববার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক, আইএফসি, ভি-২০ গ্রুপের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের। বৈঠকে আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমাতে বলেছে। সংস্থাটি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আরও কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) কাছ থেকে প্রতি বছর একশ’ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর বিশ্বব্যাংক একটি স্টাডি পেপার তুলে ধরেছে। সেখানে এ খাতের দুর্বলতা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, দেশের অর্থনীতির তুলনায় বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাত সংস্কার করতে হবে। এজন্য দুর্বল ও ছোট ব্যাংকগুলোকে বড় ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এখন দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকিং খাতকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন বিনিয়োগসহ শিল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনা জরুরি।